কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির কারাগারে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা
হুমায়ুন কবির ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা ও কুমারখালি পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তবে চিকিৎসা শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির
চিকিৎসাধীন অবস্থায় অভিযোগ উঠেছে যে, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবিরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। চিকিৎসা গ্রহণের সময় তাকে ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে, যা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন মানুষের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে চিকিৎসা সেবা, এভাবে সীমাবদ্ধ করা অনুচিত।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির একাধিক নেতা ও কুমারখালি পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, "আমরা অবিলম্বে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের মুক্তি দাবি করছি এবং তার সাথে যে ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করা হচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।"
এছাড়া, বিএনপির নেতারা সরকারের প্রতি তীব্র দাবি জানিয়ে বলেন, "হুমায়ুন কবিরের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং তার মুক্তি প্রদান করা উচিত।"
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, "চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।"
হুমায়ুন কবিরের ভাই মানিক জানান, "আমার ভাই জেলে ভালো নেই। তার সঠিক চিকিৎসা করা হচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "আমার ভাই কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও কুমারখালি পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় বন্দী। আমরা তার অবিলম্বে মুক্তি চাই।"
কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন বলেন, "হুমায়ুন কবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে এখন তাকে কারাগারের হাসপাতালে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যার জন্য ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়।"

